Wednesday, December 3, 2014

Sopno dos

বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়।
১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।
স্বপ্নদোষের মাত্রা
স্বপ্নদোষের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিছু পুরুষের টিনএজারদের মতো বেশিসংখ্যক স্বপ্নদোষ হয়, আবার অনেক পুরুষের একবারও হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের ৮৩ শতাংশ পুরুষের জীবনে কখনো না কখনো স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে। পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের দেশগুলোতে ৯৮ শতাংশ পুরুষের স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা ঘটে। অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে, ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.৩৬ বার থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৮ বার স্বপ্নদোষ হয়। বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.২৩ বার থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৫ বার হয়।
কিছু পুরুষ কেবল একটা নির্দিষ্ট বয়সে এ ধরনের স্বপ্ন দেখেন, পক্ষান্তরে অন্য বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই সারাজীবন এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। ঘন ঘন স্বপ্নদোষের সাথে ঘনঘন হস্তমৈথুন করার সুনিশ্চিত সম্পর্ক নেই। বিশ্বখ্যাত যৌন গবেষক আলফ্রেড কিনসে দেখেছেন, ‘ঘনঘন হস্তমৈথুন এবং ঘনঘন যৌন উত্তেজক স্বপ্নের মধ্যে কিছুটা সম্পর্ক থাকতে পারে। সাধারণভাবে যেসব পুরুষের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, তারা কম হস্তমৈথুন করেন। এসব পুরুষের কেউ কেউ গর্বিত হন এই ভেবে যে, তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, এ কারণে তারা হস্তমৈথুন করেন না। অথচ এদের বেলায় উল্টোটা সত্যি। তারা হস্তমৈথুন করেন না কারণ তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।’
একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরনসমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রাও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে।
বয়ঃসন্ধিকালে ১৩ শতাংশ পুরুষের প্রথম বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা ঘটে স্বপ্নদোষ হিসেবে। তবে অনেকেই প্রথম বীর্যপাত ঘটায় হস্তমৈথুনের মাধ্যমে।
স্বাভাবিকভাবে বীর্যপাতের পরে পুরুষাঙ্গ শিথিল হয়ে যায়। তবে স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে, বীর্যপাতের পরও পুরুষাঙ্গ শক্ত থাকে।
যদিও স্বপ্নদোষ প্রতিরোধ করতে কিংবা বন্ধ করতে বেশকিছু চিকিৎসা রয়েছে, তবে অনেকেই সেই চিকিৎসার মধ্যে যান না। হিক্কার মতো স্বপ্নদোষেরও অনেক ধরনের ঘরোয়া প্রতিষেধক রয়েছে, তবে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তা ছাড়া স্বপ্নদোষ কোনো শারীরিক ক্ষতি করে না বলে এবং কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে না করে বলে সাধারণত চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয় না।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কিনসে দেখেছেন, ৫ হাজার ৬২৮ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা তাদের ৪৫ বছর বয়সের সময় কমপক্ষে একবার স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। ওই সব মহিলা কিনসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫ শতাংশ মহিলা তাদের ২১ বছর বয়সের সময় স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। কেউ কেউ ১৩ বছর বয়সে পড়লে এ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। যেসব মহিলা ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভ করেন, সাধারণত তাদের বছরে কয়েকবার এটা হয়। মহিলাদের রতিমোচন হিসেবে ঘুমের মধ্যে যৌন উত্তেজনা জাগে যার মাধ্যমে তারা রতিমোচনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে তাদের স্বপ্নদোষ নির্ণয় করা সহজ, কারণ হলো বীর্য। মহিলাদের যোনিপথে নিঃসরণ রাগ মোচন ছাড়াই যৌন উত্তেজনার চিহ্ন হতে পারে।
স্পারম্যাটোরিয়া
১৮ ও ১৯ শতকে, যদি একজন রোগীর ঘনঘন অনৈচ্ছিক বীর্যপাত হতো কিংবা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণ বীর্য বের হতো তখন তার রোগ নির্ণয় করা হতো স্পারম্যাটোরিয়া বা ‘ধাতুদৌর্বল্য’ বলে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা যেমনন্ধ খৎনা করার পরামর্শ দেয়া হতো। বর্তমানে কিছু হার্বাল ওষুধ দিয়ে অনেকেই এর চিকিৎসা করলেও তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
প্রচলিত ধারণা
অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন। তাদের ধারণা, যৌবনে এটা একটা প্রধান যৌন সম্পর্কিত রোগ। কেউ কেউ নানা ধরনের চিকিৎসা করানন্ধ এমনকি স্বপ্নদোষ ও হস্তমৈথুনের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। স্বপ্নদোষকে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/14036/index.html#sthash.kMf5TzNF.dpuf

Tuesday, September 16, 2014

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ২০ ছাত্রী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্কুল্র অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চরম আতংকে স্কুল ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বিদ্যালয় চলাকালীন ছাত্রীরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় তাদের পরে ভর্তি করা হয় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু সুফিয়ান রিজভী জানান, দুপুর ১টার দিকে ক্লাস চলাকাল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর অন্তত ২০ জন ছাত্রী অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ক্লাসে প্রথমে জান্নাতি খানম (১২) নামে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর পর্যায়ক্রমে একইভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে অন্তত ২০ জন ছাত্রী।
পরে হাবিবা খানম (১২), কেয়ামনি (১২), ফাতেমা খানম (১৩), ঝুমা(১৫), নুপুর (১৪), সুইটি (১৪), সেতু (১১), শম্পা (১৪), শিমু (১৪), ফাতেমাকে (১২) পাশের জেলা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পবিত্র কুমার কুণ্ড বলেন, এটা কোনো রোগ নয়, এটি মনোস্তাত্মিক সমস্যা।

Monday, July 28, 2014

হামলা

সম্প্রতি ইসরায়েল ফিলিস্তিনির গাজায় জাতিসংঘ স্কুলে হামলা করে ১৬ জনকে হত্যা করেছে। এই হত্যার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েল।

হামলার পর গাজার একটি হাসপাতালে আশ্রয় নিতে আসা হতাহতদের স্বজনরা জানায়, তাদের আরো নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে এটা ভেবে বাসের জন্য স্কুলের বারান্দায় অপেক্ষা করছিলেন। এসময় তাদের ওপর গোলা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।

জাতিসংঘ হামলার সত্যতা পেলেও সূত্র নিশ্চিত হতে পারেনি।

গত বৃহস্পতিবারের ওই হামলার কথা স্বীক‍ার করেছে ইসরায়েলও। তবে তারা জানায়, এরিয়েল ফুটেজে তারা দেখতে পান স্কুলের প্রাঙ্গনটি খালি ছিল। তাদের শেলের আঘাতে কেউই হতাহত হয়নি।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের দাবি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামলা চালানো হয়নি।

ফিলিস্তিনি সরকারি কর্মকর্তার জানায়, বেইথ হানুন এলাকায় ইসরায়েলের তিনটি ট্যাংক শেল স্কুলটিতে আঘাত হানে। গাজায় সংঘর্ষ শুরুর পর একক হামলায় এতো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা এটি অন্যতম।

সীমান্ত এলাকার সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে শত শত ফিলিস্তিন জাতিসংঘের এমন স্কুলে আশ্রয় নিয়ে থাকে।
জাতিসংঘের এইড এজেন্সি এই হামলার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে।

গত ৮ জুলাই ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত হাজারের বেশিও ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

এদিকে গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ উল-ফিতরকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস